বিপিএল এর এবারের আসরের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়েছে আজ (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্স বনাম দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচে। সেঞ্চুরি করে দলকে শেষ ওভারে নিয়ে যাওয়া রাজশাহীর আনামুল হক বিজয় ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থাকলেন। খুলনার ছোঁড়া ২১০ রানের টার্গেটে ২০২ রানে দুর্বার রাজশাহীর লড়াই থামলে ৭ রানের জয় পায় খুলনা টাইগার্স।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিন মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন খুলনা টাইগার্সের ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
বিপিএল এর এবারের আসরের চট্টগ্রাম পর্বে বাউন্ডারি সীমানা নিয়ে প্রশ্ন সীমানা ছাড়া করে শুরু থেকেই হাত চালিয়ে খেলে ৩.৫ বলে ৪২ রান তোলে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মেহেদি হসান মিরাজ জুটি।
দলীয় ৫৪ রানে এই জুটি বিদায় নিলে রান আউটের শিকার হয়ে দ্রুত পতন ঘটে সদ্যই উড়ে আসা অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস’র।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন এবং উইলিয়াম বসিস্টো তোলেন ১১৩ রান।

১৮তম ওভারে তাসকিনের আফিফ তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৫৬ রান করেন আফিফ হোসেন। উইলিয়াম বসিস্টো ৩৭ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শেষে এসে মাহিদুল অঙ্কন বিশাল ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২ বলে ৩০ রান করলে খুলনা টাইগার্স ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান তোলে।
২১০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জবাব টা ভালই দিচ্ছিল দুর্বার রাজশাহী। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৭ রান। দলীয় ৬২ রানের মাথায় দুই ওপেনার বিদায় নিলে ক্যাপ্টেন আনামুল হক বিজয় এবং ইয়াসির রাব্বি তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলে ৫৮ রান। ইয়াসির রাব্বি ২০ রানে আউট হলে জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার রায়ান বার্লের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান যোগ করেন আনামুল হক বিজয়। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে রায়ান বার্ল আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত খুলনার কাছ থেকে অনায়াসেই নিয়ে যাচ্ছিল রাজশাহী।
শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ক্রিজে ৯০ রান করে অপরাজিত আছেন আনামুল হক বিজয়।
শেষ বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে যখন সেঞ্চুরি পূরণ করলেন তখন এক বুক হতাশায় আর উদযাপন করা হলনা ট্র্যাজিক হিরো আনামুল হক বিজয়ের।

আর এদিকে শেষ ওভারে প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করলেও দু’টি ডট বল দিয়ে শেষ ওভারে ম্যাচ জেতান হাসান মাহমুদ।

৪১০ রানের এই ম্যাচে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পকেটে পুরেছেন।