বিশ্ব ক্রিকেটের
নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালারডাইস পদত্যাগ করেছেন। আইসিসি গতকাল (২৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইসিসির প্রকাশিত
বিবৃতিতে অ্যালারডাইস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার
দায়িত্ব পালন করতে পারা আমার জন্য সম্মানের। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া থেকে
শুরু করে আইসিসির সদস্যদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি স্থাপন করা পর্যন্ত আমরা যা কিছু
অর্জন করেছি, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত।’
ক্রিকেটের
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে, ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আমাকে সমর্থন
ও সহযোগিতার জন্য আইসিসির চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায়কে
ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, পদত্যাগ করার এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার
জন্য এটাই সঠিক সময়। আমার আত্মবিশ্বাসী যে, ক্রিকেটের সামনে রোমাঞ্চকর সময় অপেক্ষা
করছে। আমি আইসিসি ও বিশ্ব ক্রিকেট সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করছি।’
আইসিসি চেয়ারম্যান
জয় শাহ অ্যালারডাইসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রধান নির্বাহী হিসেবে নেতৃত্ব
ও নিবেদনের জন্য আইসিসি বোর্ডের পক্ষ থেকে জিওফকে (অ্যালারডাইস) আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ
জানাতে চাই। বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তাঁর প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করেছে। তাঁর কাজের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে শুভকামনা
জানাই।’
তাঁর পদত্যাগের
কারণ নিয়ে আইসিসি'র পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও, ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ
এক প্রতিবেদনে কিছু কারণ দেখিয়েছে। এর মধ্যে সবার আগে উঠেছে যে বিষয়টি সেটি হল আইসিসি
চ্যাম্পিয়ন্স টফি ২০২৫ এর ভেন্যু নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার জটিলতা নিরসনে বিলম্ব
করা এবং ব্যর্থতা এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করতে দেরি করা। আছাড়াও
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০২৪ টি–টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ খরচ করা হয়েছে। ক্রিকবাজের মতে এসব
কারণেই তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১২
সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অপারেশনস ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে
মহাব্যবস্থাপক হিসেবে আইসিসিতে যোগ দিয়েছিলেন
অ্যালারডাইস। ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে মানু
শনেকে বরখাস্ত করা হলে আট মাস ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।