ছবিঃ সংগৃহীত।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে হার কি ভুলে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। নিজেদের প্রথম ৮ ম্যাচের ৮টিতেই টানা জয় তুলে নিয়ে ১৬ পয়েন্ট সবার আগে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে। পরবর্তী চার ম্যাচেই হেরে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে রবিন রাউন্ড লিগ শেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ফলে তাদের এলিমিনেটরে খেলতে হল আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। এদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্লে-অফ নিশ্চিত করা খুলনা টাইগার্স এলিমিনেটরে রংপুর রাইডার্সকে লজ্জাজনক হার উপহার দিয়ে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে কোয়ালিফায়ার ২ এ উঠে গেল।
রংপুরের দুই তারকা বিদেশি ক্রিকেটার খুশদিল শাহ এবং অ্যালেক্স হেলসরা দেশে ফিরে গেছেন। এদিকে এলিমিনেটরে দলের শক্তি বাড়াতে আজই রংপুরের স্কোয়াডে উড়িয়ে আনা হয় ক্যারিবিয় দানব আন্দ্রে রাসেল, অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার টিম ডেভিড এবং ইংলিশ ব্যাটার জেমস ভিন্সকে। হেভিওয়েট এই তিন ব্যাটার মিলে করেছেন ১১ রান এর মধ্যে জেমস ভিন্স ১ রান করে নাসুম আহমেদের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় হন। ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাসেল। আর টিম ডেভিড ৭ রান করে নাসুম আহমেদের বলে ধরাশায়ী হন।
এদিন টসে জিতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান।
একদম শুরু থেকেই রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং
অর্ডারে মড়ক লাগে। কোনো বল মোকাবেলা না করেই শূন্য রানে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকে।
এর পেছনেও অবদান আছে নতুন উড়িয়ে আনা বিদেশি ক্রিকেটার জেমস ভিন্সের। সিঙ্গেলের জন্য
দৌড়ে মাঝপথে ফেরত যান তিনি। বিপদে পড়েন সৌম্য। ভিন্সের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্রিজের মাঝামাঝি
চলে গিয়েও উলটো পথে দৌড়তে হয় তাকে। এই ফাঁকে মোহাম্মদ নাওয়াজ উড়িয়ে বল থ্রো করলে, লাফিয়ে
সেটি লুফে নিয়ে সৌম্যকে রান আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরপর শুরু হয় রংপুরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার
মিছিল। একপর্যায়ে ৩২ রানে ৬ উইকেট পড়ে গেলে মাথায় হাত ওঠে রংপুর ভক্তদের।
ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান ব্যাট
হাতে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ২৫ বল মোকাবেলায় ২ চারে ২৩ রান করে মেহেদি
হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সোহান।
সোহান আউট হলে ৬০ রানের আগেই গুটিয়ে
যাওয়ার শঙ্কা জাগে। দশম উইকেট জুটিতে ৩৩ রান তোলেন নাহিদ রানা এবং পাকিস্তানি পেসার
আকিফ জাভেদ। এরমধ্যে ৩২ রানই এসেছে আকিফ জাভেদের ব্যাট থেকে। চার বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায়
এই রান তোলেন তিনি। অপরদিকে ৯ বল খেলে ০ রানে অপরাজিত থাকে নাহিদ রানা। মুশফিক হাসানের
বলে, উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের বলে ধরাশায়ী হন আকিফ। এতে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে
উড়তে থাকা রংপুরের ইনিংস থাকে মাত্র ৮৫ রানে।
১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদি
হাসান মিরাজ। আর ১৬ রান দিয়ে এক মেডেন দিয়ে ৩ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
মাত্র ৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে
আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে ডাক মারেন মেহেদি মিরাজ। এরপর খুলনার আর কোনো উইকেট পড়েনি।
মোহাম্মদ নাইম শেখ এবং অ্যালেক্স রসের অপরাজিত ৮৯ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে ভেড়ে খুলনা
টাইগার্স। ছক্কা মেরে দলকে জয়সূচক রান এনে দেন নাইম।
৩৩ বলে ৩ চার এবং ৪ ছক্কায় ৪৮ রানে
অপরাজিত থাকেন নাইম। আর অ্যালেক্স রস ২৭ বলে ৪টি চারে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
তানজিদ হাসান তামিমকে টপকে ৪৯৬ রান
নিয়ে টুর্নামেন্টের শীর্ষ রানসংগ্রাহক এখন মোহাম্মদ নাইম শেখ।
১৬ রানে এক মেডেন দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ।
এই জয়ে এলিমিনেটরের বাঁধা টপকে কোয়ালিফায়ার ২ এ খেলবে খুলনা টাইগার্স। আজকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কোয়ালিফায়ার ১ এ হারা দলের সঙ্গে ৫ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে মিরাজ বাহিনী।
বিষয় : বিপিএল
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh