বাংলাদেশ
জাতীয় নারী ফুটবল দলে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ১৮ জন নারী
ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন না করার পাশাপাশি,
কোচ পরিবর্তন না হলে ফুটবল
ছাড়ারও হুমকি দিয়েছেন। কোচ বাটলারও কঠোর অবস্থানে থেকে জানিয়েছেন যে নির্দিষ্ট কয়েকজন
ফুটবলার দলে থাকলে তিনি কোচিং করাবেন না।
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে
ফুটবল ফেডারেশনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কোচ বাটলার জানান, বাফুফের বিশেষ কমিটির সাথে তার আলোচনা হয়েছে এবং তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে যারা বাফুফে
ভবনে থেকে ও বাফুফের খাবার
খেয়ে বাফুফের বিরুদ্ধেই ভিত্তিহীন কথা বলে, তাদের তিনি কোচিং করাবেন না।
বাটলার
বলেন, নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় অনুশীলনে আসছে না এবং ভিত্তিহীন
অভিযোগ তুলছে। এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা এবং এর অবসান হওয়া
উচিত। যাদের বাদ দিতে চান তাদের অনেকেই সাফজয়ী দলে ছিলেন এবং দেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তু শৃঙ্খলা প্রশ্নে তিনি কোনো আপস করতে রাজি নন।
তিনি
আরও বলেন, এটা কোনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নয়, যেখানে সমঝোতার সুযোগ আছে। তিনি স্পষ্ট জানান, তারা থাকলে তিনি থাকবেন না। শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ খুব কম, কারণ এর পেছনে প্রধান
কারণ হলো খেলোয়াড়দের মধ্যে অভাবিত শৃঙ্খলা। সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা, মারিয়া
ও সুমাইয়া বিদেশি লিগে খেলেছেন। যা বাটলারের অজানা।
বাটলার
যাদের বাদ দিতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই সাফজয়ী দলে ছিলেন। তারা মাঠে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেই বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। কিন্তু শৃঙ্খলা প্রশ্নে তিনি কোনো সমঝোতা করতে রাজি নন।
কোচ
এর আগে নেপালে কাঠমান্ডু সাফ টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলেন। একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডে হলে তিনি কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাদ দিতেন। এছাড়াও, নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে ইঙ্গিত করে কথা বলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছিলেন, যা কোড অফ
কন্ডাক্টের বাইরে ছিল। এ বিষয়ে আজ
প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মেয়েরা ভুল পথে ছিল এবং সেটাই তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।