চিটাগাং
কিংস এবং খুলনা টাইগার্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) বিপেল
২০২৫ আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটির পরতে
পরতে ছিল নাটকীয়তা। এই
ম্যাচে চিটাগাং কিংস শেষ বলে নাটকীয়ভাবে জয়লাভ করে ফাইনালে উঠেছে। এই জয়ের পেছনে
সবচেয়ে বড় অবদান ছিল আলিস আল ইসলামের।
চিটাগাং
কিংসের জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৫ রান প্রয়োজন
ছিল। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলেই আরাফাত সানি চার রান মেরে দলের আশা বাড়িয়ে দেন। তৃতীয় বলে আলিস আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে শরিফুল ইসলাম এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু পরের বলেই তিনি আউট হয়ে গেলে আবার আলিস মাঠে আসেন। শেষ বলে যখন চার রান দরকার ছিল, তখন আলিস মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের
বলটিকে ডিপ এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন। তিনি ৭ বলে ১৭
রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এবং ম্যাচসেরা হন।
ম্যাচ
শেষে আলিস জানান , 'রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি
যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, 'যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই
ভালো হবে।' ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রথমে বললাম, 'আমি চেষ্টা করি।' সানি ভাই বললেন, 'দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও
মারতে পারবে।' শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ
আমাদের পক্ষে আছে।'
'শেষ বলে
আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, 'ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয়
মেরে দেব।' সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।'
আলিস
আরো বলেন যে, যখন তিনি এবং সানি ব্যাটিং করছিলেন, তখন সানি তাকে বলেছিলেন বিশ্বাস রাখতে এবং তার ব্যাটিংয়ের ওপর আস্থা রাখতে। আলিস দীর্ঘদিন ধরে ভালো ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু পারছিলেন না। সানি তাকে বিশ্বাস রাখতে বলেন এবং বলেন যে, ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। কখন কি ঘটবে কেউ জানেনা।