বিপিএল ২০২৫-এর এবারের আসরের আরেক নাম যেন শেষ ওভারের টুর্নামেন্ট। বেশিরভাগ ম্যাচেরই নিষ্পত্তি ঘটেছে শেষ ওভারে । ফাইনাল ম্যাচেও তাঁর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫- এর ফাইনাল ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে চিটাগাং কিংস ১৯৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ফরচুন বরিশালকে। জবাবে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ ওভারে রিশাদের ছক্কায় টানা দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হল তামিম বাহিনী।
১৯৫ রানের টার্গেটে ফরচুন বরিশাল তাদের ইনিংস শুরু করে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দৃঢ় ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে। তামিম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন এবং চিটাগংয়ের বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেন।
তামিম ইকবাল খান ফাইনালে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন। পাওয়ারপ্লেতে বরিশাল ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তোলে। বরিশালের কাপ্তান তামিম ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দেন, কিন্তু ৫৪ রানেই তার ইনিংস শেষ হয়।

এরপর ডেভিড মালান দ্রুত আউট হয়ে যান। তৌহিদ হৃদয় হৃদয় কিছুটা চেষ্টা করলেও ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি।
তামিমের উইকেটটি চিটাগংকে খেলায় ফেরে আনে। বরিশাল দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। মুশফিকুর রহিম এবং কাইল মেয়ার্স জুটি করে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন। মুশফিক ১৬ রান করে আউট হলে মেয়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি দলের হাল ধরেন।
মেয়ার্স খুব দ্রুত রান তোলেন এবং দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। এরপরই ১৮তম ওভারে শরীফুলের জোড়া আঘাতে ঘায়েল হন কাইল মেয়ার্স এবং মাহমুদুল্লাহ।

এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ১৯ তম ওভারে বিদায় ফার্নান্দোর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। আচমকা আবারও ৩ উইকেট হারিয়ে বরিশাল আবারও চাপে পড়ে। শেষ ২ ওভারে তাদের ২০ রান দরকার ছিল। ফার্নান্দোর ওভার থেকে ১২ রান আসলে শেষ ওভারে দরকার হয় ৮ রানের। প্রথম বলেই রিশাদ হোসেন ছক্কা মারলে বরিশালের দরকার হয় ৫ বলে ২ রানের। আর কোনো অঘটন না ঘটিয়ে সরাসরি জয়ে বন্দরে ভেড়ে বরিশালের লঞ্চ।
চিটাগংয়ের শরিফুল ইসলাম ৪টি উইকেট নেন, নাঈম ইসলাম ২টি এবং বিনুরা ফার্নান্দো ১টি উইকেট নেন।
এই জয়ে ফরচুন বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল।