স্বল্প পুঁজি
নিয়েও দারুণভাবে
ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বোলিং করতে নেমে শুরুতেই কয়েকটি উইকেট শিকার করে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন সালমা খাতুন। তবে বেথ মুনির অর্ধশতকে ভর করে শেষ
পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয়
পেয়েছে অজিরা।
ওয়েলিংটনের
বেসিন রিজার্ভে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি নির্ধারিত হয় ইনিংস প্রতি
৪৩ ওভার। টস হেরে আগে
ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৩৫
রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন মুরশিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার।
উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৩৩ রান।
প্রথম
উইকেট হারানোর পর থেকে নিয়মিত
বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে ৯৫ রানের ভেতরে
পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাঘিনীরা। ষষ্ঠ উইকেটে লতা মন্ডল ও সালমা খাতুন
৩৭ রানের জুটি গড়েন। ৬৩ বলে ৩৩
রান করেন লতা।
২৩
বলে ১৫ রান নিয়ে
অপরাজিত থাকেন সালমা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাশলে গার্ডনার ও জেস জেনাসেন
দুইটি করে উইকেট নেন। সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান পায়
অস্ট্রেলিয়া। এরপরই শুরু হয় সালমা ঝড়।
শুরুতে
অ্যালিসা হিলিকে শিকার করে অজিদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সালমা। পরের ওভারেই মেগ ল্যানিংকে বোল্ড করেন তিনি। আর এরপরের ওভারে
র্যাচেল হেইনসকে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে ভীষণ চাপে ফেলে দেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এসময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডের অবস্থা ছিল ২৬ রানে ৩
উইকেট।
এরপর
তাহলিয়া ম্যাকগ্রাথকে নাহিদা আক্তার ও গার্ডনারকে রুমানা
আহমেদ আউট করলে ৭০ রানের ভেতরেই
৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্নও দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু তা আর হয়নি।
একপ্রান্তে দাপুটে ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন বেথ মুনি।
ষষ্ঠ
উইকেট জুটিতে মুনি ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড
৬৬ রানের অবিছিন্ন জুটি গড়েন। মূলত এই দুজনের দারুণ
ব্যাটিংয়ের ফলে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
আর আশাহত হতে হয় টাইগ্রেসদের।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর
বাংলাদেশ
নারী দল: ১৩৫/৬ (৪৩ ওভার)
লতা
৪৩, শারমিন ২৪, সালমা ১৫*, রুমানা ১৫;
জোনাসেন
২/১৩, গার্ডনার ২/২৩।
অস্ট্রেলিয়া
নারী দল: ১৩৬/৫ (৩২.১
ওভার)
মুনি
৬৬*, সাদারল্যান্ড ২৬*;
সালমা
৩/২৩, নাহিদা ১/৩৩, রুমানা
১/৩৫।
ফল:
অস্ট্রেলিয়া নারী দল ৫ উইকেটে
জয়ী।