বাংলাদেশ
জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী যোগ দিয়েছেন, তবে তার আসার পর থেকেই ফুটবলাঙ্গনে
উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে দলে না নেওয়ার সিদ্ধান্তের
কারণে। জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ফাহমিদুলকে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করলেও তাকে দলে রাখেননি, যার কারণে কোচের সমালোচনা এবং ফাহমিদুলকে দলে ফেরানোর দাবি উঠেছে।
আজ (১৯ মার্চ)
জাতীয় ফুটবল দলের ভারত সফরের আগে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ
সম্মেলনে ফাহমিদুলের বাদ পড়ার বিষয়ে পুনরায় ব্যাখ্যা দেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তিনি জানান, ‘‘আমি এক মাস ধরে
ফাহমিদুলকে পর্যবেক্ষণ করেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে এক সপ্তাহ ছিলেন,
তবে আমার মনে হয়েছে তাকে আরও সময় দরকার। সে তরুণ এবং
প্রতিভাবান, কিন্তু ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার জন্য আমাদের কাছে অন্য খেলোয়াড়রা বেশি প্রস্তুত।"
বাংলাদেশ
ফুটবলে প্রথম প্রবাসী ফুটবলার জামাল ভূঁইয়ার পথ অনুসরণ করে
তারিক, কাজেমরা বাংলাদেশ দলে খেলছেন। এখন হামজা চৌধুরীও খেলবেন। তবে, ফাহমিদুলের এক সপ্তাহের অনুশীলনের
পর বাদ পড়া প্রবাসী ফুটবলারদের জন্য নেতিবাচক বার্তা হতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই
বিষয়ে জামাল ভূঁইয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোচের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান, ‘‘একজন খেলোয়াড় ভালোও করতে পারে, আবার খারাপও করতে পারে। ফাহমিদুল আসলেই ভালো অনুশীলন করেছে, তবে কোচের মতে, সে এখনো প্রস্তুত
নয়। আমি কোচের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে। আশা করি ভবিষ্যতে সে আরও ভালো
করবে এবং জাতীয় দলে জায়গা করে নেবে।"
ফুটবলে
কোচের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, তিনি খেলোয়াড় বেছে নেন, বাদ দেন এবং একাদশ নির্বাচন করেন। হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশের ফুটবলে গত তিন বছরে
অনেক সময় এমন খেলোয়াড়দের দলে ডেকেছেন যারা লিগে নিয়মিত খেলা না সত্ত্বেও ডাক
পেয়েছেন, আর যারা নিয়মিত
খেলছেন, তাদের ডাক পাওয়া হয়নি। এসব কারণে ফাহমিদুলের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আবারও এ বিষয়ে প্রশ্ন
করা হলে কোচ জানান, ‘‘এই ম্যাচের জন্য
তাকে নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ সে ইতালি ফিরে
গেছে।’’