সুযোগ
পেলে কীভাবে সেটা লুফে নিতে হয়, তার আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স দলে ছিলেন কেবল ব্যাকআপ হিসেবে—এমনটিই জানিয়েছিলেন অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু ভাগ্য বদলেছে হঠাৎ করেই। দলের মূল স্পিনার ডেভিড ভিসা চোটে পড়লে একাদশে জায়গা পান রিশাদ। সেই সুযোগই তিনি কাজে লাগাচ্ছেন দারুণভাবে।
দ্বিতীয়
ম্যাচ খেলেই পিএসএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মর্যাদাসূচক ফজল মাহমুদ ক্যাপ এখন রিশাদের মাথায়। এই ক্যাপটি দেওয়া
হয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারকে। দুই ম্যাচে ৬ উইকেট তুলে
নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন ২১ বছর বয়সী
এই স্পিনার।
প্রথম
ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে রিশাদ তুলে নেন রাইলি রুশো, মোহাম্মদ আমির ও আবরার আহমেদের
উইকেট। ওই ম্যাচে ৩
উইকেট শিকার করেন মাত্র ২৩ রানে। দ্বিতীয়
ম্যাচেও একই পারফরম্যান্স—৩ উইকেট, এবার
প্রতিপক্ষ করাচি কিংস। তুলে নিয়েছেন শান মাসুদ, ইরফান খান ও আব্বাস আফ্রিদির
উইকেট। ৪ ওভার বোলিং
করে দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান।
এই
পারফরম্যান্সে শুধু উইকেট সংখ্যাই নয়, ইকোনমি রেট ও গড় বিবেচনায়ও
তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন রিশাদ। যদিও কোয়েটার আরেক লেগস্পিনার আবরার আহমেদও সমান ৬ উইকেট পেয়েছেন,
তবে পরিসংখ্যানের দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশি স্পিনার।
রিশাদের
এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে খুশি লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদিও। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “রিশাদ বাংলাদেশের হয়ে ভালো পারফর্ম করে এসেছে। সে ওদের ভবিষ্যতের
তারকা। মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ বোলিং করছে। আজ ও করাচির
মিডল অর্ডারকে কোনো সুযোগই দেয়নি।”
প্রথমে
পরিকল্পনায় না থাকা এক
স্পিনার এখন দলের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠছেন। রিশাদ দেখিয়ে দিয়েছেন, মঞ্চটা যদি মেলে, নিজেকে মেলে ধরতে সময় লাগেনা একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের।