২২ রানের
লিড নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৩। নেই
কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। দিনের শেষ সেশনে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে যত কম রানে প্রতিপক্ষকে
বেঁধে ফেলা যায় এটাই ছিল টাইগারদের লক্ষ্য। তবে চা-বিরতির পর চা খেয়ে যেন আরও শক্তিশালী
হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। ২২ রানের লিড বাড়িয়ে ৮২ রানে নিয়ে যান তারা। অবশ্য এতে
টাইগার ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস এবং গা-ছাড়া ফিল্ডিংয়েরও
কৃতিত্ব রয়েছে। এদিকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ফাইফার তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত রোডেশিয়ানদের
২৭৩ রানে থামান মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে শন
উইলিয়ামসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন মিরাজ। এরপর কিপার মায়াভোকে
ব্যক্তিগত ৩৫ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এরপর একে একে শেষ তিন উইকেটই নিজের
ঝুলিতে পুরে একাদশতম ফাইফার তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। মুজারাবানি ১৬ বলে করেন ১৭ রান।
আর রিচার্ড এনগারভা ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
কিন্তু ততক্ষণে
৮২ রানে এগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। আর দুঃখজনক হলেও সত্য, ৮২ রান তুলতেই বাংলাদেশের টপ
অর্ডারের কয়জন ব্যাটার সাজঘরের পথ ধরবেন। আর হয়েছেও তাই। এই প্রতিবেদন লিখতে লিখতেই
দলীয় ১৩ রানে ব্যাক্তিগত ৪ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে
যান সাদমান ইসলাম।
বাংলাদেশি
বোলারদের মধ্যে ৫২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। এদিকে ৭৪ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিডস্টার
নাহিদ রানা। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ আর খালেদ আহমেদ।
এই প্রতিবেদন
লেখা পর্যন্ত ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনো ৪৯ রানে পিছিয়ে ক্রিজে যথাক্রমে
১৮ রান এবং ৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুমিনুল হক।