চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দারুণ শুরু করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিন শেষে উইকেটে ছিলেন জিম্বাবুয়ের শেষ দুই ব্যাটার সিগা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। সেদিন তাদের দেখে মনে হয়েছিল, যেন হেলমেট-প্যাড পরে ঘুমোতে গিয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ইতি টানেন তাইজুল ইসলাম।
বাইরের দিকে সুইং করা বলটিতে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুজারাবানি। যদিও প্রথমে আম্পায়ার আবেদন ফিরিয়ে দেন, তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ২২৭ রানে এবং তাইজুল পূর্ণ করেন তার ষষ্ঠ উইকেট।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৩২ ইনিংস পর দুই ওপেনার গড়েন শতরানের উদ্বোধনী জুটি—যা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক পরম আকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য। লাঞ্চের আগে ২৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৫ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ও স্লিপে দৃষ্টিকটু ক্যাচ মিস করা সাদমান ইসলাম জবাব দিয়েছেন ব্যাটে। পেয়েছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ফিফটি। আর দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে গড়েন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। যদিও লাঞ্চের পর বেশিক্ষণ টেকেনি এই জুটি।
১১৮ রানের জুটি ভাঙে যখন মুজারাবানির এক ইনসুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিজয় (৩৯)। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। বলটি প্যাডে লাগে, কারণ এটি আর সুইং করেনি বা খানিকটা রিভার্স সুইং হয়েছিল।
এরপর সাদমান ইসলাম চালিয়ে যান তার স্বাভাবিক ছন্দে খেলা। ধীরে ধীরে বলের দখল নেন, এবং ১৪২তম বলে রিচার্ড এনগারাভার বলে চার মেরে পূর্ণ করেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৪৬ রান পিছিয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাদমান ও মুমিনুল তুলে নিয়েছেন ৫৮ রান। সাদমান ১৬২ বলে ১৬টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কায় ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন, আর মুমিনুল ৪৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৫রানে অপরাজিত আছেন।