সাদমান
ইসলামের সেঞ্চুরিতে দিন শুরু হলেও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার হিড়িকে বিকেল গড়িয়ে এলো হতাশায়। অভিষিক্ত ভিনসেন্ট মাসেকেসার ৩ উইকেট আর
মুশফিকুরের দায়িত্বজ্ঞানহীন রানআউটে ছন্দপতন, ফলে ৬৪ রানের লিড নিয়েও বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের হতশ্রী
দশাই বেশি চোখে পড়েছে।
চট্টগ্রামের
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রোদেলা সকালে যে দৃঢ়তার গল্প
শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক
বিজয়, দিনের শেষে সেই দৃশ্যপট বদলে যায় একরাশ হতাশায়। সাদমান ইসলাম ১৮১ বল মোকাবেলা করে
১৬টি চার ও একটি ছয়ে
১২০ রানের ইনিংস খেলেন, যা তার ক্যারিয়ারসেরা
ইনিংস।

অন্যদিকে
এনামুল হক বিজয় ছিলেন
ধৈর্য্যশীল, ৮০ বলে ৩৯
রান করে সাদমানের সঙ্গে গড়েন ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি।

তবে
এনামুলের আউটের পর দৃশ্যপট দ্রুত
পাল্টাতে থাকে। একে একে সাজঘরে ফিরতে থাকেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের সেট ব্যাটাররা। মুমিনুল হক (৩৩), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২৩), এমনকি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও (৪০) উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। বিশেষ করে মুশফিকের রানআউটটি ছিল অপ্রয়োজনীয় এক তাড়াহুড়োর ফসল,
যেখানে তার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত একেবারেই বেমানান।

এদিন বল হাতে জ্বলে ওঠেন জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা।

নিজের অভিষেকেই ১৪ ওভারে ৪৪
রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট—অধিনায়ক শান্ত, উইকেটকিপার জাকের আলি এবং লেগস্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেওয়া নাঈম হাসান।
বাংলাদেশের
ইনিংসে যখন দ্রুত ছন্দ পতন ঘটে, তখন দিনশেষে আর কোনো অঘটন ঘটতে দেননি,
মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। মেহেদি হাসান মিরাজ
(১৬*) ও তাইজুল ইসলাম
(৫*) দিন শেষে অপরাজিত থাকেন।

৮৭ ওভারে বাংলাদেশের
সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৯১
রান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের লিড নিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর
জিম্বাবুয়ে
প্রথম ইনিংস: ২২৭
বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংস: ২৯১/৭ (৮৭ ওভার
শেষে)
সাদমান
ইসলাম ১২০, মুশফিকুর রহিম ৪০, এনামুল হক ৩৯;
মাসেকেসা
৩/৪৪, মুজারাবানি ১/৪৪, মাসাকাদজা
১/৭৭
বাংলাদেশের
লিড: ৮১ রান
ক্রিজে
আছেন: মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬*, তাইজুল ইসলাম ৫*
অবশিষ্ট
ব্যাটার: হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব।