চট্টগ্রাম
টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৯১
রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। তখনই আশঙ্কা ছিল, দিনের শুরুতে দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে খুব একটা বড় লিড নাও
নিতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু সেসব শঙ্কা দূরে ঠেলে আজ (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ
করে ৪৪৪ রান, তুলে নেয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৭ রানের দৃঢ় লিড। দিনটি ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের সংগ্রামী ইনিংস ও বোলার তাইজুল এবং তানজিম সাকিবের
ভরসার ব্যাটিংয়ে গড়া সাফল্যের প্রতিচ্ছবি।
সকালে
খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে টেনে তোলেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
দু’জন গড়েন ৬৩ রানের একটি
গুরুত্বপূর্ণ জুটি, যা দলের স্কোরবোর্ডে
বাড়তি জ্বালানি জোগায়। তাইজুল ২০ রানের ইনিংস
খেলে সাজঘরে ফিরে গেলেও, মিরাজ তখনো ছিলেন অবিচল। শুরুতে সতর্ক, পরে আগ্রাসী—এই ব্যাটার দিনটি
শেষ হওয়ার আগেই নিজের
করে নেন।
তাইজুল
আউট হওয়ার পর মিরাজের সঙ্গী
হন তরুণ তানজিম হাসান সাকিব। দুইজন মিলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি।

অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা তানজিম সাকিব দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করেন, করেন ৪১ রান। মিরাজের
ব্যাট থেকে আসে ১৬২ বলের ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যাতে ছিল ১১টি চার ও একটি ছয়।
এই ইনিংসের পথে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

মিরাজের
সেঞ্চুরি ইনিংস থেমে যায় যখন তিনি ধরা পড়েন উইকেটকিপার টিসিগার স্টাম্পিংয়ে। বলটি এসেছিল সেই ভিনসেন্ট মাসেকেসার হাত থেকে, যিনি এই টেস্টে অভিষেকেই
ছড়িয়ে দিয়েছেন আলো। ৩১.২ ওভারে
১১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট—একজন
স্পিনারের পক্ষে চট্টগ্রামের উইকেটে অভিষেকে এমন ফাইফার অবশ্যই স্মরণীয়।

বাংলাদেশের
ইনিংস থেমে যায় ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪
রানে। এই ইনিংসের মাধ্যমে
স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে পায় ২১৭ রানের বড় লিড। বল
হাতে জিম্বাবুয়ের অন্য বোলারদের মধ্যে মুজারাবানি, মাসাকাদজা, বেনেট ও ম্যাধেভেরে পান
একটি করে উইকেট।