ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরের বাকি ম্যাচগুলো।
আজ (৯ মে) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক জরুরি সভায় ভারত সরকারের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ধরমশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচ। তবে হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত করে দেওয়া হয় এবং দর্শকদের দ্রুত মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরপরই তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় দুই দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও সম্প্রচারকর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে—আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, নিরাপত্তা শঙ্কায় অনেক বিদেশি ক্রিকেটার, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়েরা আর মাঠে নামতে চান না। তারা যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে ফিরতে আগ্রহী। একই সঙ্গে সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও ম্যাচ স্থগিতের পক্ষে মত দেখা যায়।
সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা, যার অবসান ঘটিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসর মাঝপথেই স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
অন্যদিকে, পাকিস্তানেও যুদ্ধাবস্থা ছড়িয়ে পড়ায় স্থগিত করা হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাছে ড্রোন হামলার ঘটনায় স্থগিত করা হয় একটি ম্যাচ। এরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জরুরি বৈঠকে বসে এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত নেয়—পিএসএলের বাকি আটটি ম্যাচ আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হবে।
পিসিবি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই নতুন সূচি ঘোষণা করা হবে।