আইপিএলে দেখা গিয়েছিল এক ম্যাচে দুই সুপার ওভার। তবে নেপাল এবং নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ দেখালো এমন কিছু যা ক্রিকেটে আগে দেখা যায়নি কখনোই। পুরুষদের পেশাদার ক্রিকেটে (লিস্ট এ, টি-টোয়েন্টি এবং আন্তর্জাতিক) এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে দেখা গেল তিন তিনটি সুপার ওভার। লম্বা এই ম্যাচ শেষে অবশ্য জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডসই।
গ্লাসগোতে আইসিসির দুই সহযোগী দেশের মধ্যেকার এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ফল এনে দিয়েছেন মাইকেল লেভিট। তৃতীয় সুপার ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন তিনি।
ত্রিদেশীয় সিরিজের এদিনের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৫২ রান ৭ উইকেটে। ইনিংসটির মাঝামাঝি সময়েই বোঝা গিয়েছিল খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং স্কোর হচ্ছে না নেপালের জন্য। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেপালের ব্যাটাররা ভালো শুরু করলেও মাঝপথে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।
শেষ ওভারে নেপালের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ক্রিজে ছিলেন টেইলএন্ডার নন্দন যাদব। তিনিই ম্যাচের চিত্র বদলে দেন দুই চার হাঁকিয়ে। একেবারে শেষ বলে হাঁকানো চার ম্যাচটাই টাই করে দেয়।
প্রথম সুপার ওভারে নেপালের ওপেনার কুশাল ভুর্তেল ৫ বলে ১৮ রান করেন, যার মধ্যে ছিল কিছু মারকাটারি শট। মনে হচ্ছিল ম্যাচ এখন নিশ্চিতভাবেই নেপালের দিকেই যাচ্ছে। কিন্তু ম্যাক্স ও’ডাউড হলেন ডাচদের ত্রাতা। নেদারল্যান্ডসের ওপেনার পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে একটি ছয় এবং একটি চার হাঁকিয়ে আবারও স্কোর সমান করে দেন, ফলে খেলা যায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে।
দ্বিতীয় সুপার ওভারে নেদারল্যান্ডস আগে ব্যাট করে এবং এবার ও’ডাউড ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের একটি করে ছয়ের সৌজন্যে স্কোর হয় ১৭। কিন্তু আবারও নেপাল ফিরে আসে ম্যাচে। এবার শেষ বলে দীপেন্দ্র সিং আইরে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্কোর সমান করেন।
দুটি সুপার ওভারেও সমাধান না আসায় ম্যাচ যায় তৃতীয় সুপার ওভারে। এখানে বল হাতে নেদারল্যান্ডসের জয় নিশ্চিত করে দেন অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার জ্যাক লায়ন-ক্যাশে। ৪ বলে কোনো রান খরচ না করেই তুলে নেন দুই উইকেট। নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল মাত্র একটি রান। ব্যাট হাতে নামেন মাইকেল লেভিট। সান্দীপ লামিচানের প্রথম বলেই আসে ছক্কা। তাতেই নাটকীয় জয় তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস।