আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ফরম্যাটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ দিনের বদলে অধিকাংশ ম্যাচই হবে চার দিনে।
যদিও কিছু বাছাই করা হাই-প্রোফাইল সিরিজ, যেমন অ্যাশেজ বা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ম্যাচগুলি আগের মতোই পাঁচ দিনের হবে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো ছোট দেশগুলিকে আরও বেশি সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলতে উৎসাহ দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সূচিতে আরও জায়গা তৈরি করা। আইসিসির এক সমীক্ষা অনুযায়ী, অনেক ছোট দেশ টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে আগ্রহ দেখায় না সময় ও খরচের কারণে। চার দিনের ম্যাচে খরচ কমবে এবং এক মাসের মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ করা যাবে—এতে ছোট দেশগুলির অংশগ্রহণ বাড়বে বলেই আশা আইসিসির।
প্রসঙ্গত এই পরিবর্তনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয় ২০২৫ টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় লর্ডসে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, যিনি এই প্রস্তাবে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন।
চার দিনের ম্যাচে প্রতিদিন ৯৮ ওভার খেলার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে এখনকার পাঁচ দিনের ম্যাচে প্রতিদিন খেলা হয় ৯০ ওভার করে। খেলার গতি বজায় রাখতে এবং সময় নষ্ট ঠেকাতে বিশেষ নজর রাখা হবে বলেও জানিয়েছে আইসিসি।
তবে সব ম্যাচ চার দিনের হচ্ছে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজগুলি এখনকার মতোই পাঁচ দিনের হবে। এই সিদ্ধান্ত টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণীয় সিরিজগুলির গুণমান অক্ষুণ্ণ রাখবে।
২০১৭ সালে প্রথম চার দিনের টেস্ট অনুমোদন দেয় আইসিসি, আর ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড এবং ২০২৪ সালে ইংল্যান্ড ও জিম্বাবোয়ের মধ্যে চার দিনের ম্যাচও হয়েছে।
২০২৫-২০২৭ সালের চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এই চক্রের সব ম্যাচই পাঁচ দিনের হবে। আইসিসির আশা, দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্স স্থানীয় ক্রিকেটে নতুন প্রাণ আনবে এবং বিশ্বব্যাপী টেস্ট ক্রিকেটের আগ্রহ বাড়াবে!