গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে বড় স্কোর গড়লেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই—সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। গত বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, লিটন দাসের ৯০ রানে আউট হয়ে যাওয়া হতাশাজনক হলেও তিনি আশাবাদী এই ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন এই ব্যাটার।
সালাউদ্দিন বলেন, লিটন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থেকে ব্যাটিং করেছে। শুধু একটা শট খারাপ হয়েছে, যেটার জন্য ওর ইনিংসটা থেমে গেল।
তবে ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। আমি মনে করি, সে এই ভুল থেকে শিখবে এবং পরের বার আরো বড় ইনিংস খেলবে।’
দ্বিতীয় দিনে ৪৫৮/৪ থেকে ধসে পড়ে ৪৮৪/৯ বাংলাদেশ হারায় শেষ পাঁচ উইকেট মাত্র ২৬ রানে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে থারিন্দু রত্নায়েকের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল তার হাতে লেগে উঁচু হয়ে ক্যাচ হয়ে যায় কুশল মেন্ডিসের হাতে।
আর তাতেই মাত্র ১০ রানের আক্ষেপে থেমে যায় সম্ভাব্য সেঞ্চুরি।
১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় সাজানো ছিল লিটনের ইনিংস। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১৪৯ রানের। এর আগে মুশফিক খেলেছেন ১৬৩ রানের দারুণ এক ইনিংস।
সালাউদ্দিন জানান, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মানসিকতা এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা দলের জন্য প্রেরণাদায়ক।
তিনি বলেন, ‘মুশফিক এমন একজন, যিনি সত্যিকার অর্থে দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তিনি অভিজ্ঞ। সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি রান না করলেও, তার পরিশ্রম, উন্নতির ইচ্ছা ও ড্রেসিংরুমে তার নেতৃত্বগুণ— এগুলোই একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের আসল বৈশিষ্ট্য।’
প্রায় ৫০০ রান করেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
সালাহউদ্দিন মনে করেন, এখনো ম্যাচের দখল কার হাতে সেটা বলা কঠিন। সালাউদ্দিন বলেন, ‘ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে, তা বলা কঠিন। এটা নির্ভর করছে, কে প্রতিটি সেশন জিতছে তার উপর। আমরা কাল প্রথম সেশনে ভালো খেলিনি, আজ আবার শেষ সেশনটাও খারাপ গেছে। তাই আমাদের প্রতিটি সেশন জিততে হবে। এখনো উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে উইকেট নিতে হবে। শ্রীলঙ্কা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছে। ব্যাটারদের রান তুলতে কষ্ট করতে হয়েছে। আমরাও চাই, আমাদের বোলাররা এমন পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করুক।’
সালাউদ্দিন আরো বলেন, ‘আমি আশা করছি, পরবর্তী দিনে পিচে ভাঙন ধরবে। আমাদের স্পিনাররা এই উইকেটে কার্যকর হতে পারে। আমাদের দুইজন ভালো পেসারও আছে। যদি তারা সুইং আদায় করতে পারে, তাহলে ম্যাচে মোড় ঘোরাতে পারবে।’