দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও থামেনি পিএসজি। দারুণ লড়াইয়ে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে পিএসজির হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন দেজিরে ডুয়ে ও ওসমান ডেম্বেলে। ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ান পাচো ও লুকাস হার্নান্দেজ।
প্রথমার্ধেই ভারসাম্যপূর্ণ লড়াই জমে ওঠে। বায়ার্নকে দারুণ বিপাকে ফেলে দেয় চোট। বিরতির ঠিক আগে ভয়াবহভাবে গোঁড়ালিতে আঘাত পান জামাল মুসিয়ালা। তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে হয়, গোলরক্ষক ডোনারুম্মাও ছিলেন চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে। এই ম্যাচেই বায়ার্নের হয়ে শুরুতে মাঠে নামেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। অন্যদিকে পিএসজির তারকা ডেম্বেলে ছিলেন বেঞ্চে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিনিই হয়ে ওঠেন ম্যাচের নায়ক।
ম্যাচের আগে প্রায় ৬৭ হাজার দর্শক এক মিনিট নীরবতা পালন করেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যুতে। পিএসজির দলে পাঁচ পর্তুগিজ খেলোয়াড় থাকায় মুহূর্তটি ছিল আবেগঘন। ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকার পর এগিয়ে যায় পিএসজি। হ্যারি কেন মাঝমাঠে বল হারালে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠে তারা। ২০ বছর বয়সী দেজিরে ডুয়ে ডি-বক্সের কিনার থেকে নিচু শটে গোল করেন।
৮৩ মিনিটে পিএসজি খেলোয়াড় পাচো সরাসরি লাল কার্ড দেখেন লিওন গোরেৎজকাকে ট্যাকল করায়। অতিরিক্ত সময়ের কাছাকাছি গিয়ে হ্যারি কেন গোল করলেও তিনি ছিলেন অফসাইডে। এর কিছু পরেই দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুকাস হার্নান্দেজ, এবার কনুই দিয়ে আঘাতের কারণে। সবকিছুর পরও জয় নিশ্চিত করেন ডেম্বেলে। ৯০ মিনিটে আশরাফ হাকিমির পাস থেকে বল পেয়ে ডানদিকে কাটিয়ে গোল করেন তিনি। এরপর জোতার স্মরণে তার ভিডিও গেম উদযাপন অনুকরণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পিএসজির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ আরও বড়। সেমিফাইনালে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তাদের মুখোমুখি হতে হবে রিয়াল মাদ্রিদ বা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে ম্যাচ শেষে বলেন, "এটা ছিল চূড়ান্ত লড়াইয়ের মতো। ডেম্বেলে ও ডুয়ের মতো তরুণেরা যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছে, তা দারুণ আত্মবিশ্বাস দেয় সেমির আগে।"
এখন অপেক্ষা আরেকটি হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের। কেননা সেমিফাইনালে পিএসজি মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের।