দেশের মাঠে বল হাতে রীতিমতো রাজত্ব করল বাংলাদেশ। টস হেরে বল হাতে নিয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করল লিটন দাসের দল।
লিটনের নেতৃত্বে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি টাইগার বোলাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের এমন করুণ পরিণতি এনে দিল বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডব।
আজ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন লিটন। সেই সিদ্ধান্তই হয়ে উঠল জয়ের প্রথম ধাপ। প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ও চাপ সৃষ্টি করা বোলিংয়ে উইকেট তুলে নিতে থাকেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা।
সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৬ রান, নিয়েছেন ২টি মূল্যবান উইকেট-যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে সবচেয়ে কম রান দিয়ে বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড। এই পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন রিশাদ হোসেন ও নিজেকেই, যারা আগে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন।
তবে মুস্তাফিজই একা নন, সঙ্গ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেন তিনি। শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে পথ দেখান। এরপর হরিস, সালমান ও নওয়াজও দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইনিংসে একমাত্র প্রতিরোধ ছিলেন ওপেনার ফখর জামান। ৩৪ বলে ৪৪ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেললেও এক প্রান্ত আগলে রাখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি। শেষ দিকে খুশদিল শাহ (১৭) এবং আব্বাস আফ্রিদি (২২) কিছুটা লড়ার চেষ্টা করলেও দলীয় সংগ্রহ ১১০ রানের বেশি হয়নি।
শেষ ওভারে এক নাটকীয় ধস নেমেছিল পাকিস্তানের ইনিংসে। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বল পর্যন্ত ১১০ রানে ৭ উইকেট ছিল, তাসকিনের করা ২০তম ওভারের প্রথম তিন বলেই পড়ে যায় শেষ তিন উইকেট। একে একে আউট হন ফাহিম আশরাফ, সালমান মির্জা ও আব্বাস আফ্রিদি।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী ও তানজিম হাসান সাকিবও। মাঠে যেন একটানা চাপ তৈরি করেই রেখেছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ২০১৬ সালে মিরপুরেই আগের সর্বনিম্ন ছিল ১২৯/৭। আজ সেটিও ছাড়িয়ে গেছে।