দেশের ক্রিকেটে দুই মহাতারকা তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। একসময় ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এখন দুজনই দুই ভিন্ন মেরুতে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত অবস্থান আর আইনি জটিলতায় সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে। অন্যদিকে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়তে যাচ্ছেন তামিম।
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি ক্রিকেটের এক পডকাস্টে খোলাখুলি মত দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তার ভাষায়, ‘সে বাংলাদেশের ক্রিকেটার। যদি ফিট থাকে, অনুশীলন করতে পারে এবং নির্বাচকরা যদি তাকে যোগ্য মনে করেন, অবশ্যই জাতীয় দলে ফিরতে পারবে। তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা বা মামলা থেকে মুক্ত করা আমার হাতে নেই। এখানে আইনি বিষয় জড়িত।’
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন সাকিব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে তামিম আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণে নয়। সাকিব যদি মামলার মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেয়, তখনই সুযোগ আসবে। সে আমেরিকান বা পর্তুগিজ নয়, সে বাংলাদেশের ক্রিকেটার।’
সবশেষে তামিম পরিষ্কারভাবে জানান, জাতীয় দলে ফিরতে হলে সাকিবকে আগে দেশে ফিরতে হবে, ‘কোর্টে মামলা চালানো বা মামলা উঠিয়ে নেওয়া বিসিবির বিষয় নয়। সাকিবকে দেশের হয়ে খেলতে হলে দেশে ফিরতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। এটাই সত্যি কথা। সিদ্ধান্তটা তার নিজের।’
এভাবে সাকিবকে নিয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন তামিম। এখন প্রশ্ন একটাই নিজ দেশের মাটিতে আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়ে কি আবারও বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন সাকিব? নাকি দেশের বাইরে থেকেই ক্যারিয়ারের শেষ দেখবেন?