নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে চলমান ছাত্র–জনতার বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। কাঠমান্ডু পোস্ট-এর খবরে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৩৪৭ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। এর আগে দুই দলের প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়েছিল।
আজ সোমবার বাংলাদেশ দলের নির্ধারিত অনুশীলনও বাতিল করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে খেলোয়াড়রা বর্তমানে টিম হোটেলেই অবস্থান করছেন। ম্যাচ বাতিলের পর ফুটবলারদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিচ্ছে বাফুফে।
নেপালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার আন্দোলন দমনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। শুধু রাজধানী কাঠমান্ডুই নয়, পোখারা, বুতোয়াল, ভারতপুর ও ইতাহারিসহ বিভিন্ন শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, বাফুফে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে— “আমরা কাঠমান্ডুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দলের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ANFA) এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। খেলোয়াড়রা বর্তমানে টিম হোটেলে নিরাপদে আছেন।”
উল্লেখ্য, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে “রেডবুল আন্তর্জাতিক ফুটবল ২০২৫” ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নেপালের সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতির কারণে ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।