বয়স ৩৯ ছুঁইছুঁই। এই বয়সে অনেক ক্রিকেটারের খেলার অধ্যায় চুকিয়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আসিফ আফ্রিদি এখনই পাকিস্তান দলে নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন অধ্যায় লিখছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যেখানে অনেকের ক্যারিয়ার ৩৮ বছর বয়সে শেষের পথে। সেখানে আসিফ আফ্রিদি প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘোষিত ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই দলে নতুন মুখ হিসেবে ডাক পেয়েছেন ফয়সাল আকরাম ও রোহাইল নাজির। যারা টি-টোয়েন্টি খেললেও টেস্টে এবারই প্রথম সুযোগ পাচ্ছেন।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১২ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২০ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫–২৭ চক্র। শুধু টেস্ট নয়, পরবর্তী ধাপে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলবে দুই দল। ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদে। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে পুরো ওয়ানডে সিরিজ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আসিফ আফ্রিদির স্বপ্ন পূরণের পথ ছিল কঠিন। পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা না থাকায় জাতীয় দলে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেললেও সংসারের দায় সামলাতে হয়েছে। ঘরোয়া লিগে বছরের পর বছর পারফর্ম করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।
এই অভিষেক শুধু আসিফ আফ্রিদির ক্যারিয়ারের বড় অর্জন নয়। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্যও এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়। এটি প্রমাণ করে—স্বপ্ন দেখার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। আর কঠোর পরিশ্রমের ফল একদিন না একদিন আসবেই।