সম্ভাবনা জাগিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। একাধিক বিতর্কিত আম্পায়ারিং সিদ্ধান্তে হাতছাড়া হলো জয়ের ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত গোয়াহাটিতে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ডকে। শুরুতেই চাপে পড়ে ইংলিশরা—মাত্র ১০৩ রানে হারায় ৬ উইকেট। তবে তিনে নামা ব্যাটার নাইট দলের হাল ধরেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মারুফার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেও তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যান তিনি। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় ভারতের গায়াত্রী ভেনুগোপালান মাঠের আম্পায়ারের আউট সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
এরপর ব্যক্তিগত ১৩ রানে আবারও জীবন পান নাইট। এবারও টিভি আম্পায়ার একই কারণে আউট দেননি। দুইবার জীবন পেয়ে তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। ১১১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন এবং ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন।
ম্যাচ শেষে হতাশা ঝরে ফাহিমা খাতুনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত ছিলাম ওটা আউট ছিল। তবু না দেওয়ায় খুব হতাশ হয়েছি।’
অন্যদিকে, ইংলিশ ব্যাটার নাইট নিজেও স্বীকার করেছেন যে তিনি আউট ভেবেছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমি ভেবেছিলাম বলটা পরিষ্কারভাবে ধরা হয়েছে। তাই স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলাম। তবে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভিন্ন ছিল।’
বাংলাদেশের মেয়েরা এখন চোখ রাখছে পরবর্তী ম্যাচে। আগামী ১০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল, যেখানে লক্ষ্য একটাই ভুলের প্রতিশোধ নিয়ে জয়ের ধারায় ফেরা।