ঝাঁ চকচকে জীবন, অঢেল বিলাসিতা। ক্রিকেটারদের জীবনে থাকে দামী ঘড়ি। গাড়ি আর বিদেশ ভ্রমণ। কিন্তু সবাই এক নন। ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এর ঠিক উল্টো ভাবেন। সম্প্রতি “ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নস” অনুষ্ঠানে বরুণ নিজের মনের কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমি আমার বন্ধুদের সামনে তিন লাখ টাকার ঘড়ি পরতে পারি না।” তাঁর কণ্ঠে ছিল এক ধরনের অপরাধবোধ। কারণ বিলাসিতা তাঁর কাছে আনন্দ নয় বরং অস্বস্তি।
বরুণের মতে, টাকা শুধুই নিজের জন্য ব্যবহার করার নয়। সেটা অন্য কারও জীবন বদলাতে ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, “আমি যদি কারও জীবন বদলাতে পারি, সেটাই আসল শক্তি।” একবার তিনি তিন লাখ টাকার একটা ঘড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু ঘড়িটা কেনার পরই মনে হলো। এই টাকা দিয়ে তো কারও জীবন অনেকটা বদলে দেওয়া যেত। হয়তো কারও পরিবারের দুই তিন প্রজন্মের উপকার হতো।
বরুণ আরও বলেন, তাঁর অনেক বন্ধু এখনো ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের সামনে এত দামি জিনিস পরা তাঁর কাছে ভালো লাগে না। তিনি বলেন, “আমি নিজেই অস্বস্তি পাই। মনে হয় যেন তাদের প্রতি অসম্মান করছি।”
ক্রিকেটার হওয়ার আগে বরুণ ছিলেন একজন স্থপতি। অভিনয় করেছেন ‘জিভা’ নামে একটি তামিল চলচ্চিত্রেও। একসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ২৬ বছর বয়সে আবার ক্রিকেটে ফিরে আসেন। আর সেখানেই খুঁজে পান নিজের সত্যিকারের ভালোবাসা। ঝলমলে এই বিশ্বে থেকেও বরুণ অন্যরকম। তার গল্প মনে করিয়ে দেয়, সাফল্যের সঙ্গে বিনয় আর সহমর্মিতা সবচেয়ে বড় শক্তি।