সমালোচনা তীব্র হচ্ছে চারদিকে। একের পর এক ভুল, একই ব্যর্থতা। পাওয়ারপ্লে পার হতেই যেন থেমে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ছন্দ। মিডল অর্ডারের দায়িত্বহীন শট আর এলোমেলো সিদ্ধান্তে হারছে গতি। ভরসা ও ম্যাচ। পেসার তানজিম হাসান সাকিবও ক্ষোভ চাপেননি। তিনি বলেন, “তাদের সুযোগ ছিল ম্যাচটাকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার। স্ট্রাইক রোটেট করে খেললেই হতো। একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।”
ড্রেসিংরুমেও সেই হতাশার প্রতিধ্বনি। অধিনায়ক লিটন দাস প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন শামীম হোসেনের ব্যাটিং নিয়ে। শেষ ১৩ ইনিংসে শামীম মাত্র ছয়বার দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন। তিনবার শূন্য। দুইবার এক রানে আউট। সর্বশেষ ম্যাচে জেসন হোল্ডারের বলে মাত্র এক রানে ফেরেন তিনি।
লিটন স্পষ্টই বলেছেন, “শামীমের ব্যাটিং দেখে আমি খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম। সব সময় শুধু মজা করে খেলা যায় না; দায়িত্বও নিতে হয়।”
তার এই বক্তব্যে টানাপোড়েনের গুঞ্জন উঠলেও দলীয় সূত্র তা ভিত্তিহীন বলেছে। এখন প্রশ্ন হৃদয়, শামীম ও মিডল অর্ডারের অন্যরা কি ছন্দে ফিরতে পারবেন? নাকি একই দুর্বলতা আবারও থামিয়ে দেবে দলের এগিয়ে চলা?
টি–টোয়েন্টিতে নতুন স্বপ্নের বছরটি শুরু হয়েছিল আশায়। কিন্তু দায়িত্বহীন ব্যাটিং সেই আশাকেই এখন প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।