বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জীবনের নানা দিক, দর্শন, আফসোস ও স্বপ্ন নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন। খেলাধুলার বাইরের জীবন নিয়েও তিনি খোলামেলা ভাবনায় কথা বলেছেন। জীবনের সোনালি মুহূর্ত শুধু মাঠেই নয়। মাঠের বাইরেও লুকিয়ে আছে। এমনই ভাবনায় বিশ্বাসী এই ক্রিকেটার।
ঢাকা শহরের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে পাইলট বলেন, “ঢাকায় এলে দেখি মানুষ শুধু দৌড়াচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে। ২২–২৩ বছর বয়সে চাকরি শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করে। মাঝখানে শুধু একটা সন্তানকে মানুষ করে। তারপর জীবন শেষ। আমি মধ্যবিত্তের কথাই বলছি। তারা শুধু দৌড়ায়, কিন্তু দুনিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না। মেশিনের মতো জীবন কাটায়। আমি কিন্তু মেশিনের মতো দৌড়াই না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আপনি কীভাবে বাঁচবেন, সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। নিউজিল্যান্ড বা স্কটল্যান্ডের মানুষের মতো সুখী হবেন। না কি নিউইয়র্কের মানুষের মতো শুধু টাকার মালিক হবেন। এটা নির্ভর করে আপনার পছন্দের ওপর। আমি জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই। রিল্যাক্স থাকতে চাই।”
দেশ, জীবন ও ক্রিকেট নিয়ে নিজের ভাবনা জানাতে গিয়ে পাইলট বলেন, “আফসোস তো সবার জীবনেই থাকে, আমারও আছে। পুরো দেশ নিয়েই একটু আফসোস আছে। বাংলাদেশের মানুষ দারুণ, কিন্তু আইন–বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে দেশটা পিছিয়ে আছে। মানুষ অনেক ভালো। কিন্তু সিস্টেম ভালো না বলে ভালো কিছু হয় না। ক্রিকেটও আরও অনেক দূর এগোতে পারত এ নিয়েও আফসোস হয়।”
এই সাক্ষাৎকারে খালেদ মাসুদ পাইলট যেন তুলে ধরেছেন এক পরিণত জীবনের গভীর দর্শন। যেখানে জীবনের মানে শুধু সাফল্য নয়। বরং নিজেকে জানা, সময়কে উপভোগ করা। আর মানুষের ভেতরের সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করা। তার কথায় স্পষ্ট জীবন কোনো দৌড় নয়। জীবন এক যাত্রা। যেখানে গন্তব্য নয়, পথটিই আসল।