ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লাল কার্ডের কারণে তিন ম্যাচের শাস্তি পেলেও পর্তুগালের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফিফা। তবে ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে ফের শাস্তির মুখে পড়বেন সিআরসেভেন।
ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখার পর কঠিন শাস্তির মুখে পড়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে আঘাত করার অপরাধে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে তার খেলা নিয়ে দেখা গিয়েছিল শঙ্কা। অবশেষে পর্তুগাল সমর্থকরা পেয়েছে স্বস্তির খবর।
পর্তুগালের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তাতে সব শঙ্কা কেটে গেছে। আগামী বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব আসরে শুরু থেকেই পর্তুগালের হয়ে খেলতে পারবেন রোনালদো।
গত ১৩ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল পর্তুগাল। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে আইরিশ ডিফেন্ডার দারা ও’শেয়াকে কনুই দিয়ে আঘাত করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। পরবর্তীতে মাঠের পাশে থাকা মনিটরে ভালোভাবে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে ম্যাচ রেফারি পর্তুগিজ তারকাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। ২২৬ আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটিই ছিল রোনালদোর প্রথম কোনো সরাসরি লাল কার্ড।
প্রথমত, লাল কার্ডের জন্য ফিফার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় রোনালদোকে। এর মধ্যে বাধ্যতামূলক এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তিনি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে কাটিয়েছেন। সেই ম্যাচে পর্তুগাল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে। বাকি দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তাকে মূলপর্বে কাটাতে হতো। তবে জাতীয় দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তারা রোনালদোর ওপর থেকে বাকি দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
তবে ফিফা এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পর্তুগিজ তারকাকে কঠোরভাবে সতর্কও করে দিয়েছে। ফিফার বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যদি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ আবার করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাকি দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তাকে কাটাতে হবে। এই শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে ৪১ বছর বয়সী রোনালদো ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপের আসর শুরু থেকেই খেলতে পারবেন।