টেস্ট ক্রিকেট থেকে এক প্রকার স্বেচ্ছা নির্বাসনেই রয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজ খেলেছেন মাত্র ১৪টি টেস্ট। যার সর্বশেষটি খেলেছিলেন গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এরপর আর সাদা পোশাকে দেখা যায়নি বাঁহাতি এই পেইসারকে। একই সঙ্গে বিসিবি তাকে রাখেনি চলতি বছরের লাল বলের চুক্তিতেও। বারবার ফিজের কাছে টেস্ট না খেলার কারণ জানতে চাওয়া হলে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার প্রতিবারই ফিটনেসের দোহাই দিয়ে দায় এড়িয়েছেন।
তবে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন মুস্তাফিজের নিয়মিত টেস্ট খেলা উচিত। যেহেতু জাতীয় দলে পেইস বোলারের কিছুটা সংকট রয়েছে, সেই দিক বিবেচনা করে হলেও ফিজের টেস্ট খেলা উচিত।
সুজন বলেন, ‘আমি তো চাই মুস্তাফিজ টেস্ট ম্যাচ খেলুক, কেন নয়? আমাদের তো এত বোলার নাই। আপনি যদি হাতে গোনেন এবাদত, তাসকিন, শরিফুল, খালেদ খেলল গত সিরিজটা, রাহী... এরপর আপনার বোলার কই? এরপর তো বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজই। অভিজ্ঞতা বলেন, তার নৈপুণ্য বলেন তার টেকনিক্যাল বা ট্যাকটিক্যাল দিক বলুন মুস্তাফিজ সেরা।’
বর্তমানে তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও খালেদ আহমেদ নিয়মিত টেস্ট খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে। এদের কেউ একজন ইনজুরিতে পড়লে বা বিশ্রামে গেলে তখন সংকট দেখা দেয় পেইসারের। আর সে কারণেই মুস্তাফিজের টেস্টে আসা দরকার বলে মনে করছেন সবেক এই ক্রিকেটার।
সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি মুস্তাফিজের এই জন্যই টেস্ট খেলা উচিত... দেখেন আজকে তাসকিন ইনজুরিতে, আমাদের মূল বোলার একজন। সে জায়গায় যদি মুস্তাফিজ থাকত, তাহলে আমাদের একজন অভিজ্ঞ বোলার থাকত। ব্যালান্স ঠিক থাকে। তাসকিন-শরিফুল দুজন এমন প্লেয়ার ইনজুরিপ্রবণ, তাড়াতাড়ি ইনজুরিতে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের তো মুস্তাফিজ থাকলে আমরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে...’
‘তিন ফরম্যাট খেলা (সমানতালে) এখন কঠিন, কারণ এত বেশি খেলা। এখানে সবারই বিরতি প্রয়োজন। তাসকিনের যেমন ব্রেক দরকার, শরিফুলের ব্রেক দরকার। এবাদত যেহেতু একটা ফরম্যাট খেলে, আমরা ধরে নিলাম সে টেস্টে নিয়মিত থাকবে, খালেদেরও একই কারণ সেও অন্য ফরম্যাট খেলে না।’
মুস্তাফিজকে এ ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য হলেও খেলা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন মুস্তাফিজের মানের খেলোয়াড় তৈরি হয়ে যাবে, তখন হয়তো মুস্তাফিজকে আমাদের প্রয়োজন হবে না।’