মেটা ছেড়েছেন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি’র অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত মার্কিন প্রোগ্রামার ও প্রযুক্তি পরামর্শক জন কারম্যাক। ২০১৪ সালে দুইশ কোটি ডলারে ভিআর কোম্পানি ‘অকুলাস’ অধিগ্রহনের পর প্রযুক্তি প্রধান হিসেবে মেটায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার চাকরী ছাড়ার খবর সর্বপ্রথম উঠে আসে মার্কিন প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে তার অভ্যন্তরীণ এক মেমোর কয়েকটি অংশও প্রকাশিত হয়, যেখানে মেটার ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি প্রচেষ্টা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। ইনসাইডার ও নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরপরই টুইটার ও ফেইসবুকে কোম্পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারম্যাক। নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া পুরো বার্তাও প্রকাশ করেন তিনি।
“ভিআর খাতে এটিই আমার দশকের সমাপ্তি।” --মেমোতে বলেন কারম্যাক।
কারম্যাক মেমোটি শুরু করেন ‘কোয়েস্ট ২’ হেডেসেটের প্রশংসা করে। ‘শুরু থেকে একে এমনভাবেই দেখতে চেয়েছেন’ তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন ডিভাইসের ভেতর ও বাইরের ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, পিসি স্ট্রিমিং সুবিধা, খরচ কার্যকারিতা ও ‘৪কে’র কাছাকাছি স্ক্রিন রেজুলিউশনের বিষয়গুলো।
তিনি আরও বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিলে ডিভাইসটি তুলনামূলক ‘দ্রুত আসতে’ ও ‘ভালো করতে’ পারতো। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার সঙ্গে কারম্যাকের মূল সমস্যাটি হলো কোম্পানির দক্ষতা।
“আমাদের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জনবল রয়েছে। তবে, আমরা ক্রমাগত নিজেদের ক্ষতি করে এইসব প্রচেষ্টা নষ্ট করছি।” --লেখেন তিনি।
“এতে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ কোনো উপায় নেই; আমি মনে করি, যতোটা পেলে আমি সন্তুষ্ট হতাম, তার অর্ধেক দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিটি।”
এই নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ের এক কণ্ঠস্বর’ হিসেবে তিনি ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো কোম্পানির ভেতরে দরকারি পরিবর্তন আনতে পারবেন। কোনো বিশদ উদাহরণ না দিলেও পত্রে কারম্যাক উল্লেখ করেছেন, তিনি যেসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতেন, তার বেশিরভাগই বাস্তবায়িত হতে এক বা দুই বছর সময় লেগেছে, যখন সমস্যাগুলো ‘গলায় গিয়ে ঠেকেছে’।