আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের খাতায় অ্যামাজন। এর কারণ হিসাবে খরচ কমানোর কথা বলেছে এই অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট। বিশ্বব্যাপী দেড় লাখের বেশি কর্মী থাকা কোম্পানিটি বলেছে, মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং ও বিজ্ঞাপনী বিভাগের মতো জায়গাগুলোয় এই ছাঁটাই কার্যক্রম চলবে।
এর প্রভাব কোন দেশগুলোয় পড়বে, তা কোম্পানি এখনও বলেনি। তবে, আসন্ন সপ্তাহগুলোতেই এইসব পদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, এটি একটি ‘জটিল সিদ্ধান্ত’ হলেও দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো।
জ্যাসি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অ্যামাজনের ব্যবসার বেশিরভাগ জায়গাতেই বিভিন্ন পদ যোগ হয়েছে। “যাই হোক, আমাদের বিদ্যমান অনিশ্চিত অর্থনীতি ও অদূর ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা নিজেদের খরচ ও কর্মী সংখ্যাকে আরও সুবিন্যস্ত করার উপায় বেছে নিয়েছি।”
অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টের মতোই, মহামারী চলাকালীন গ্রাহকরা বাড়িতে আটকে থাকায় অ্যামাজনের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
জ্যাসি বলেন, নিজেদের কর্মী হারানো ‘কখনওই সহজ’ বিষয় নয়। “শেষ পর্যন্ত যাদের ওপর এই ছাঁটাই কার্যক্রমের প্রভাব পড়বে, কোম্পানি ও গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তাদের কাজের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
এই ছাঁটাই কার্যক্রমের প্রভাব গিয়ে পড়তে পারে গেইম ও মিউজিক ভিত্তিক লাইভস্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচেও। ১৬ বছর টুইচের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করা এমমেট শিয়ার নিজ পদ থেকে সরে আসার পরপরই এই পদক্ষেপ এলো। ২০১৪ সালে একশ কোটি ডলারে টুইচ কিনেছিল অ্যামাজন।