মার্কিন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক-এর জন্য বাংলাদেশে লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (২৮ এপ্রিল) এই
লাইসেন্স অনুমোদন করার পর, এটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবা খাতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
এর
আগে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ
'নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক
লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। এই গাইডলাইনের আওতায়
স্টারলিংক বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদান শুরু করতে আবেদন করেছিল।
এ
প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি
বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সরকারের ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আনার দাবি ওঠে, যা এখন বাস্তবে
রূপ নিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে তুলে ধরার উদ্দেশ্যও ছিল, বিশেষত দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকাগুলোর
ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া।
ফয়েজ
তৈয়্যব জানান, স্টারলিংক সেবার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে, যা লোডশেডিংয়ের সময়েও
অব্যাহত থাকবে, অন্যদিকে অন্যান্য আইএসপি সেবায় এমন সমস্যা দেখা যায়।
তিনি আরও
বলেন, বাংলাদেশে
বর্তমানে ফাইবার নেটওয়ার্কের সীমিত বিস্তার এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে কিছু সমস্যার কারণে স্টারলিংক এই সমস্যাগুলোর সমাধান
করবে এবং মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের
বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
এভাবে
স্টারলিংকের সেবা বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যেখানে ডিরেগুলেশন হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং শহর বা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন
ও মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিশ্চিত হবে- যোগ করেন ফয়েজ তৈয়্যব।