সিলেটে পর্যটনশিল্পে ধস নেমেছে গত কয়েক দিনে। এ ধস নামার একমাত্র কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবরোধকে।
এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে এমন অস্থির সময়ে মানুষ ভ্রমণ করতে অনিচ্ছুক। তাই নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও পর্যটনের ভরা মৌসুমে প্রত্যাশিত সংখ্যক পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না-এমন মন্তব্য পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এখন প্রায় গ্রাহকহীন। চলমান অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে এ খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অথচ দেশে পর্যটন মৌসুম সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। শীতের মাস গুলোয় থাকে ভরা মৌসুম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট ২০২০-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৩ শতাংশ। এছাড়াও সেই বছর এ খাতে মোট কর্মসংস্থান ছিল চার শতাংশ। সিলেটের অর্থনীতিও এখন প্রায় পর্যটননির্ভর। সারা বছরই সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা আসেন। কিন্তু বর্তমান এই পরিস্থিতিতে লাগাতার অবরোধে খা-খা করছে সিলেটের হোটেল-রিসোর্টগুলো।
কোনো উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও সারা বছরই পর্যটকরা সিলেটে আসেন। এছাড়া সাপ্তাহিক সরকারি ছুঁটির দিনগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় থাকে। হোটেল-রিসোর্ট গুলোতে দেওয়া থাকে অগ্রিম বুকিং। রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটননির্ভর এ ব্যবসা। অনেকেই বাতিল করেছেন হোটেল-রিসোর্টের বুকিং। এছাড়া সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলোতেও নেই কোনো ভিড়।